দিনভর যানজট, শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর হচ্ছে ডিএমপি
বছরের শুরু থেকেই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর হবার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। একে নগর জুড়েই উন্নয়নের কাজ চলায় রাস্তা হয়ে পড়েছে সংকীর্ণ; তার উপর স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পরও এখনও দিনভরই ভয়াবহ যানজট। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বল প্রয়োগে সাময়িক সমাধান মিললেও টেকসই সুবিধা পেতে পুরো সড়ক নেটওয়ার্ক 'কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার' আদলে ঢেলে সাজাতে হবে।
পান্থকুঞ্জ পার্ক লাগোয়া সড়কটি দিয়ে সার্ক-ফোয়ারার সড়কে সেদিন দু ঘণ্টায় উল্টোপথে প্রাইভেট কার গিয়েছে ২৭টি, মোটরসাইকেল অসংখ্য। সবারই উত্তর সময় কম কিংবা সহজ অজুহাত বুঝতে পারেননি। ট্রাফিক পুলিশ এই অপরাধে জরিমানাও করছেন কিন্তু তারপরও বিকার নেই কারো।
এতো গেলো ব্যক্তিগত যানের কথা। গণ পরিবনও চলছে যে-যার মতো। বাস দাঁড়ানোর জন্য নির্ধারিত বাস বে'তে দাঁড়ায় না বাস। যাত্রী উঠছেন মূল সড়কেই। আবার যাত্রী ছাউনির কাছে নেই ফুটওভার ব্রিজ, তাই যাত্রীরা ছাউনির নিচে নেমে ব্রিজে উঠতে বাড়তি হাঁটতেও রাজি নন।
আইন যেমন মানছেন না পরিবহন শ্রমিকরা, তেমনি যাত্রীরাও নির্বিকার। ওদিকে বেড়িবাঁধে চলছে ফিটনেসহীন লক্করঝক্কর বাস ও লেগুনা। যাত্রী নেবার প্রতিযোগিতায় রাস্তা আটকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন ড্রাইভাররা। ঝুঁকিপূর্ণ এসব যানের চালকও অপ্রাপ্তবয়স্ক।
এসব কারণে করোনার মধ্যেও সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তৈরী হচ্ছে যানের জটলা। এখনই যদি এই অবস্থা হয় তবে স্কুল কলেজ খুললে কি হবে তা এখনই ছড়াচ্ছে আতঙ্ক।
ডিএমডি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলছেন, নতুন বছরের শুরু থেকেই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাবেন তারা।
তিনি বলেন, বিনয়ের সাথে সবাইকে জানাতে চাই আমরা এবার কঠোর হবো। হয়তো এক মামলাতেই আপনার সারা মাসের আয় চলে যেতে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এতে হয়ত সাময়িক সুবিধা পাওয়া যাবে কিন্তু টেকসই সমাধান পেতে হলে একসাথে সমন্বিতভাবে বহু কাজে হাত দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক সামছুল হক বলেন, আমাদেরকে সঠিক পদ্ধতি আগাতে হবে। বাস, রিক্সাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। হাতিরঝিলের মতো করতে পারলে পুলিশও লাগবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন শৃঙ্খলা-বাহিনী আইন মানাতে নাগরিকদের বাধ্য করবেন সেটি যেমন সত্য, তেমনি এটিও সত্য যে নাগরিক হিসেবে আমাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তবে বিজ্ঞানভিত্তিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা এসবের চেয়েও অনেক বেশি জরুরি।